কক্সবাজার সৈকতে হাতে আঁকা মেসির ‘সবচেয়ে বড় ছবি’

কক্সবাজার প্রতিনিধি •

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হয়ে গেলহাতে আঁকা ফুটবলার লিওনেল মেসির ছবির প্রদর্শনী। শিল্পী তারিকুল ইসলাম ও হাসিঘর ফাউন্ডেশন কক্সবাজারের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সৃষ্টিশীল এই প্লেমেকারের ছবি দেখতে সৈকতে ছিল পর্যটক ও মেসি ভক্তদের ভিড়।

ছবির কারিগর শিল্পী তারিকুল ইসলামের দাবি, এটি হাতে আঁকা মেসির ‘সবচেয়ে বড় ছবি’।

আয়োজকরা বলছেন, ‘ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সবচেয়ে বড় ছবি সাদা কাপড়ে অ্যাক্রেলিক রঙ দিয়ে আঁকা হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৩৪ ফুট এবং প্রস্থ ২২ ফুট। তাদের দাবি কাপড়ে আঁকা এই ছবিটি হবে বিশ্বের মধ্যে হাতে আঁকা মেসির সবচেয়ে বড় ছবি। এই ছবিতে সাত রঙের ব্যবহার হয়েছে।’

শিল্পী তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, “হাতে আঁকা মেসির ছবি ছাড়াও মিষ্টি কুমড়া বীজে আঁকা ক্ষুদ্র আটটি ছবি রয়েছে। নিজস্ব শিল্পকর্ম দিয়ে তারিকুল ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড–২০২২’ পেয়েছেন। জায়গা করে নিয়েছেন ‘এশিয়া বুক অফ রেকর্ডে’।”

মেসির ভক্ত কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রবিউল আলম বলেন, ‘লা লিগা (১৮৩) এবং কোপা আমেরিকার (১২) ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর কৃতিত্বেরও মালিক মেসি। জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে তিনি ৭০০ এর অধিক পেশাদার গোল করেছেন। পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও পরিচিত। আমি মেসির ভক্ত। তার ছবি নিয়ে প্রদর্শনীতে এসে খুব ভালো লাগছে।’

কক্সবাজারে ঘুরতে আসা রাজশাহীর বাসিন্দা রাজিব হাসান ও রুমানা বলেন, ‘মেসির ছবি প্রদর্শনীর খবর শুনে ছুটে এসেছি। বেড়াতে এসে সমুদ্র দর্শনের সঙ্গে মেসির ছবির পাশে ক্যামরাবন্দি হতে পারা অতিরিক্ত পাওয়া।’

রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আফরা রুমালি অথৈ বলেন, ‘আমি যদিও ব্রাজিল সমর্থক। কিন্ত মেসি একজন ভালো ফুটবলার। সেই জায়গা থেকে আমি প্রদর্শনীতে এসেছি। অন্যদের মতো আমিও তার ছবির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি।’

শিল্পী তারিকুলের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি। তার বাবার নাম মো. আব্দুল কাফি প্রামাণিক। ছবি আঁকার হাতে খড়ি বড় ভাই তাজমিনুর রহমান তাজের মাধ্যমে। তারিকুল রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারু ও কারুকলা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক।